উখিয়ায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে খেজুর বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুষ্ট ভাবে বিতরণ না হওয়ায় শত শত শিক্ষার্থী খেজুর থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, সৌদি সরকার কর্তৃক প্রেরিত খেজুর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের দায়িত্ব পায় মুসলিম এইড নামক একটি বির্তকিত এনজিও সংস্থা। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পরিচালনাধীন শিক্ষার্থীদের মাঝে উখিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে বিস্কুট বিতরণ করে আসছে এনজিও সংস্থা মুসলিম এইড। এ সুবাদে সৌদি সরকারের প্রেরিত খেজুর বিতরণেও দায়িত্ব পায় উক্ত এনজিও সংস্থা।
খোঁজখবর নিয়ে যায়, গত ১০ মে থেকে উখিয়ায় খেজুর বিতরণ শুরু হয়। প্রায় ৮০ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে খেজুর বিতরণের কথা রয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, গত ১১ মে জালিয়াপালং ইউনিয়নের চাককাটা আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে খেজুর বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। মুসলিম এইডের ফিল্ড সুপার ভাইজার আব্দুল জলিলের স্বেচ্ছারিতা ও দায়িত্বপালনে অনিহা করায় উক্ত বিদ্যালয়ের শতাধীক শিক্ষার্থী খেজুর থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদ কোম্পানী অভিযোগ করে বলেন, ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য খেজুর বরাদ্দ হলেও ওই দিন পবিত্র শবে বরাত হওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সংখ্যা কম ছিল। এছাড়াও খেজুর বিতরণের সংবাদ পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসলেও মুসলিম এইডের আব্দুল জলিল তাদেরকে না দিয়ে তড়িগড়ি করে চলে যায়।
সহ-সভাপতি ছৈয়দ নুর জানান, খেজুর বিতরণের অনিয়ম করার প্রতিবাদ করলে উল্টো অভিভাবকদের সাথে উক্ত এনজিও সংস্থা কর্মী সকলের সাথে দুর্ব্যহার করে। এসময় অভিভাকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অভিভাবকগণ খেজুর বিতরণে অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিটক জোরদাবী জানিয়েছেন।
……………………………………………….
উখিয়া উত্তর পুকুরিয়া প্রাচীণতম কবরস্থানের জায়গায়
ঘর তৈরি: মুসল্লীদের মাঝে ক্ষোভ
ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান জবর দখল করে বসত বাড়ী তৈরির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কবরস্থানের জাগয়ায় রাতারাতি ঘর তৈরির ঘটনা এলাকাবাসী রীতিমত থ বনে গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি সহ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, উত্তর পুকুরিয়া অতি প্রাচিনতম কবরস্থান হচ্ছে এটি। বৃহত্তর এলাকার একমাত্র কবরস্থান এটি। অভিযোগে প্রকাশ গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় কতিপয় চিহিৃত ব্যক্তি কবরস্থানের জায়গা জবরদখলের পায়তারা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু স্থানীয় মুসল্লীদের বাঁধার কারণে তা সফল হয়নি।
মুসল্লীরা অভিযোগ করে বলেন, গত দু’দিন আগে ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী এনে রাতের আধারে কবরস্থানের জায়গা জবর দখল করে টিন দিয়ে ঘর তৈরি করে। একই এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে মো: ইউনুছ ও শাহাব উদ্দিন জোরপূর্বক ভাবে কবরস্থানের জায়গায় এ ঘর গুলো তৈরি করে।
এদিকে কবরস্থানের জায়গার উপর রাতের আধারে তড়িগড়ি করে ঘর তৈরির ঘটনা কেন্দ্রে করে স্থানীয় মুসল্লীদের মাঝে চাপা উত্তোজনা বিরাজ সহ ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর পুকুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মৌলভী আব্দুল করিম ও সেক্রেটারী মৌলভী শাহনেওয়াজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কবরস্থানের জায়গার উপর ঘর তৈরি করা খুবই দু:খজনক। একই এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাস্টার আব্দুল গফুর জানান, কবরস্থানের জায়গায় ঘর তৈরির ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় মুসল্লী ও গ্রামবাসীরা যৌথ ভাবে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে এবং এ ব্যাপারে আইনগত প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: